ওযুর করার সঠিক পদ্ধতি,যেমনটা ইসলামে বলা আছে
ওযু ছাড়া নামাজ বিশুদ্ধ হবে না।পবিএ পানি ছাড়া ওযু হবেনা। যে পানি নিজ গুনের উপর অবশিষ্ট আছে তাকে পবিএ পানি বলে।
যেমন:সাগরের পানি ,কুপ,ঝর্ণা ও নদীর পানি।
সাত ধাপে ওযু করা হয়।আসুন সাতটি ধাপ ভাল করে জেনে নেই।
প্রথম ধাপ'বিসমিল্লাহ' বলে ওযু শুরু করবেন।প্রত্যেক ওযুতে হাত দু'টি কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা মোস্তাহাব।
কিন্তু রাতে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে দু'হাত তিনবার ধৌত করা জরুরি।
দ্বিতীয় ধাপতারপর একবার কুলি করা ওয়াজিব।তিমবার উওম।
সর্তকতা: (১)কুুুুলি করার সময় শুধু মুখে পানি প্রবেশ করিই যথেষ্ট নয়; বরং মুখের মধ্যে পানি ঘুরানো আবশ্যক। (২) কুলি করার সময় মেসওয়াক করা সুন্নাত।
তৃতীয় ধাপতারপর একবার নাকে পানি দেওয়া ওয়াজিব।তিনবার উওম।
সর্তকতা: শুধু নাকের মধ্যে পানি প্রবেশ করানো যথেষ্ট নয়।বরং
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নাকের ভিতরের পানি নিতে হবে তারপর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তা বের করতে হবে, হাতের মাধ্যমে নয়।
চতুর্থ ধাপতারপর একবার মুখমন্ডল ধৌত করা ওয়াজিব।তিনবার উওম।
মুখমন্ডলের যে অংশটুকু ধোয়া ওয়াজিব:
এককান থেকে আরেক কান পর্য়ন্ত প্রস্থের দিক থেকে।দৈর্ঘের দিক থেকে কপালের চুল গজানোর স্থান থেকে নিয়ে নীচে থুতনী পযম্ত।
সর্তকতা: ঘন দাড়ি খিলাল করা মুস্তাহাব। ঘন না হলে খিলাল করা ওয়াজিব।
পঞ্চম ধাপ
সর্তকতা: মুস্ততাহাব হচ্ছে প্রথমে ডান হাত তারপর বাম হাত ধৌত করা।
ষষ্ঠ ধাপ
তারপর সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করবেন। আর দু'তর্জনী আঙ্গুল দু'কানের ছিদ্রের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দু'বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে দু'কানের বাইরের অংশ মাসেহ করবেন।এসব কাজ এক বার করা ওয়াজিব।
সর্তকতা: (১)যেটুকু মাথা মাসহ করা ওয়াজিব তা হচ্ছে:মাথার সামনের অংশ থেকে পিছনের অংশ পর্যন্ত। (২)পিছনের চুুুল ছাড়া থাকলে তা মাসেহ করাা ওয়াজিব নয় ।(৩)চুল না থাকলে মাথার
চামড়া স্পর্শ করে মাসেহ করবে। (৪)দু'কানের পিছনের সাদা অংশ
মাসেহ করা ওয়াজিব ।
সপ্তম ধাপ
No comments